Tuesday, August 27, 2019

ফরিদপুরে আনোয়ার শেখের হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

নাজমুল হাসান নিরব,ফরিদপুর প্রতিনিধি- ফরিদপুর সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের গোয়ালেরটিলা গ্রামের আনোয়ার শেখের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে মমিনখার হাট এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।

 মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড.সরদার আউয়াল হাসান,যুগ্ন-সম্পাদক মোঃ হাতেম শেখ,১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার আঃ মালেক মোল্লা, চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কেরামত আলী,আইন সহয়তা কেন্দ্র (আসুকের) বিভাগীয় সেক্রেটারী মো.আক্তার হোসেন আকাশ প্রমুখ।

 এসময় নিহত আনোয়ারের মা নুরজ্জাহান,পিতা- জালাল শেখ,স্ত্রী ফরিদা,বোন মাহফুজা,দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ পরিবারের অন্যন্য সদস্যারা কান্নায় ভেঙ্গে পরেন । তারা হত্যার সাথে জড়িত মোঃ মজনু ফকির, মোঃ শাহিন শেখ, ইদ্রিস মন্ডল, ,আলমাস, রবিজুল, সুজন ও কাউসারকে দূরত ফাঁসির দাবি জানান। পরে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট স্বারক লিপি প্রদান করেন। এই বিষয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানান, এই হত্যার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করা হয়েছে । ৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকি আসামীদের গ্রেফতারে জন্য মামলার আইও কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

উল্লেখ্য গত ২৬/৫/২০১৯ইং নিহত আনোয়ার শেখ নিজ বাড়ি হতে হাট করার উদ্দ্যেশে বের হয় অনেক রাত হওয়ার পর সে বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজেও তাকে ঐরাতে পাইনি। পরের দিন ২৭/৫/১৯ইং সকালে ঐ এলাকার গোয়লেরটিলা মিনাজ উদ্দীন মোল্লা পাড়াস্থ রাস্তার পাশে মোতালেব শেখের মেহগনি বাগানে তার জবায় করা মৃত দেহ পরে থাকতে দেখে এলাকাবাসী । এই গঠনায় ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি এজাহার দায়ের করে নিহত আনোয়ারের স্ত্রী ফরিদা বেগম।

Monday, August 27, 2018

চরভদ্রাসনে পদ্মা বাঁধ প্রকল্পে কোটি টাকা উধাও,ভাঙনের কবলে মেইন সড়ক !

নাজমুল হাসান নিরব,চরভদ্রাসন প্রতিনিধিঃ-
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদরের এম.পি ডাঙ্গী, গ্রামে পাকা রাস্তা গত বৃহস্পতিবার পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে।তারও সপ্তাহ খানেক আগে বিলীন হয়ে গেছে ফাজেলখার ডাংগি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মাত্র ১৫ দিন পুর্বে উক্ত রাস্তা রক্ষার জন্য প্রায় এক কোটি টাকা ব্যায়ে জিও বালুর ব্যাগ ডাম্পিং প্রকল্প কাজ করেছেন ফরিদপুর পাউবো। একই সাথে পার্শ্ববতী ফাজেলার ডাঙ্গী গ্রাম ও বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের ভাঙন কবলিত পদ্মা পারে জিও বালুর ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়। এ প্রকল্পর আওতায় সর্বমোট ২২ হাজার ৫শ’ জিও বালুর ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়। 
    কিন্ত সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের নিম্নমানের বালু ব্যাবহারের ফলে প্রকল্পটি কোনো কাজে আসেনি বলে  অভিযোগের ঝড় ওঠেছে পুরো উপজেলায়। পদ্মা নদীর অপর পারের চর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অত্যান্ত নিম্নমানের বালু উত্তোলনের পর তা ট্রলার ও বলগেট মেশিন দিয়ে ভাঙন কবলিত পদ্মা পারে ফেলা হয়। এসব বালু পরিমানে কম দিয়ে প্রস্তুত করা হয় জিও ব্যাগ। আর এসব প্রস্তুুতকৃত জিও ব্যাগ পদ্মা পারে কম পরিমানে ডাম্পিং করে অধিক দেখানো হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর। ফলে নিম্নমানের মান বালু ভর্তি জিও ব্যাগ পদ্মা নদীর খড়ো স্রোতের আঘাত প্রতিরোধ করতে না পেরে পুরো প্রকল্প ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে বলে দেখা গেছে।
    উপজেলার এমপি ডাঙ্গী গ্রামে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার শেখ মোনসুর, শেখ সালাম ও শেখ নুরুদ্দিন সহ আরো অনেকে জানায়, “ মাত্র পনের দিন আগে উপজেলার মেইন সড়ক, স্কুল, মসজিদ ও মাদ্রাসা রক্ষার জন্য জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। উক্ত পদ্মা রক্ষা কাজ চলাকালে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে আমরা গ্রামবাসী বার বার মৌখিক অভিযোগ করেছি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ফরিদপুর পাউবো’র কর্মকর্তারা আমাদের কোনো কথাই কর্ণপাত করেন নাই। ফলে এক কোটি টাকার পদ্মা রক্ষা প্রকল্পটি এলাকার কোনো কাজে আসল না ”। এলাকার তরুন সমাজের দাবী “সর্ম্পুন অনিয়মতান্ত্রিক ও অপরিকল্পিতভাবে বালুর বস্তা যেখানে সেখানে ফেলা হয়,বাঁধ যেভাবে হয় সেভাবে কোন বস্তা ফেলা হয় নাই,টাকা পায়ছে আর লুটপাট কইরা খায়ছে,এক কোটি টাকা তো বাড়ির কাছে না,কই বিন্দু পরিমান ভাঙন তো কমল না”।
 গত শুক্রবার ভাঙন কবলিত উপজেলার প্রধান সড়কটি পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, “ ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অনিয়ম করলে তাকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। অভিযোগের সত্যতা পেলে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে”।
 জানা যায়, প্রতিটি জিও ব্যাগ ১৭৫ কেজি ওজন সম্পন্ন শুকনো ও মানসম্মত বালু দিয়ে প্রস্তুত করার বিধান রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা তা অনিয়ম করে পদ্মা নদীর ভিজা কাঁদাবালু মাটি জিও ব্যাগের অর্ধেক পরিমানে ঢুকিয়ে কোনো ওজন না দিয়ে পদ্মা পারে ডাম্পিং করা হয়। এ প্রকল্পর আওতায় উপজেলা সদরে পদ্মা নদীর এমপি ডাঙ্গী গ্রামের মেইন সড়কের পাশে পদ্মা পারে দুই দফায় মোট ১১ হাজার ৫শ’ জিও বালুর ব্যাগ ও ফাজেলখার ডাঙ্গী, বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের পদ্মা পারে আরও ১১ হাজার সহ সর্বমোট ২২ হাজার ৫শ’ জিও বালুর ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়। এ প্রকল্পর কাজ করার জন্য প্রায় ৯৪ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্দ দেন ফরিদপুর পাউবো।
এ প্রকল্প কাজের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ফরিদপুর পাউবো’র উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, “ জরুরী ভিক্তিতে পদ্মা রক্ষা প্রকল্পর কাজ করার সময় মান সম্মত বালু পাওয়া যায় না। তাই কাজটি সম্পন্ন করার স্বার্থে লোকাল বালু ব্যবহার করতে হয়েছে”। আর উপজেলা পদ্মা রক্ষা প্রকল্প কাজের ঠিকাদার ও নিলয় এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী মানিক মিয়া বলেন, “ ভরা বর্ষা মৌসুমে শুকনো বালু ম্যানেজ করা সম্ভব হয় না। তাই বলগেইট মেশিনের মাধ্যমে পদ্মা থেকে বালু তুলে আনতে হয়”।

Sunday, August 12, 2018

চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙনে হুমকীর মুখে সরকারী কোটি টাকার বেশী সম্পদ !

চরভদ্রাসন প্রতিনিধি-

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদরে এমপি ডাঙ্গী গ্রামের মেইন সড়ক,সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,মসজিদ ও মাদ্রাসার সামনে শুক্রবার পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙন চলছে। মাত্র একদিনে শূন্য বসতভিটে, মাঠ জমি ও বৃক্ষ বাগান মিলে প্রায় ৫ একর জমি বিলীন করে রাক্ষুসী পদ্মা নদী মেইন সড়ক ঘেষে অবস্থান করছে। এতে ওই গ্রামের মেইন সড়ক সহ পাশের স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা ও বসতি পরিবারগুলো পদ্মা নদী মুখে চরম হুমকীর মধ্যে রয়েছে। 
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার এমপি ডাঙ্গী গ্রাম ছাড়াও পার্শ্ববতী ফাজেলখার ডাঙ্গী ও বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামে পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ফাজেলখার ডাংগি জামে মসজিদ ও সরকারি প্রাখমিক বিদ্যালয় পদ্মার কিনারে,যে কোন সময় ভেঙে যেতে পারে।এবং বালিয়া ডাংগি গ্রামের বেরিবাধ ভেঙে পদ্মা এখন বিপদসীমায়।যে কোন সময় বিলিন হতে পারে সদ্য নির্মিত বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র,প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নির্মান শেষ হওয়ার দিকে কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক।সবকিছু মিলিয়ে সরকারের প্রায় কোটি টাকা উপরে লোকসান হতে যাচ্ছে।
এ খরব পেয়ে শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুর পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ, বিভাগীয় প্রকৌশলী জহির উদ্দিন ও উপজেলা চেয়ারম্যান এ.জি.এম বাদল আমিন ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।এ ব্যাপারে ফরিদপুর পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান,“ যেহেতু উপজেলা পদ্মা রক্ষা স্থায়ী বাঁধ নির্মান প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে। তাই আসছে শীত মৌসুমেই বাঁধ নির্মান কাজ শুরু হবে। আপাতত অত্র রাস্তা ও প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষার জন্য জরুরী ভিক্তিতে পদ্মা পারে জিও বালুর ব্যাগ ডাম্পিং করা হবে”।

 পদ্মার ভাঙন রক্ষার জন্য গত ক’দিন আগে ফাজেলখার ডাঙ্গী ও বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামে নদী পাড়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে ১১ হাজার জিও বালুর ব্যাগ ডাম্পিং করা মাত্র পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। ওই গ্রামের প্রায় অর্ধ কি.মি. বেড়িবাঁধ সহ একটি পাকা মসজিদের অর্ধাংশ বিলীন হয়ে গেছে। 
এ ব্যপারে উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ কাউছার অভিযোগ করে বলেন, “ অত্যান্ত নিম্নমানের পদ্মা চরের বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করার ফলে ভাঙন কবলিত পদ্মা নদীর কোনো প্রতিরোধ হচ্ছে না”। 
স্থানিয়ি ইউনিয়ন সদস্য আঃ বারেক মন্ডল জানায়, যদি এই ভাঙন রোধ না হয় তাহলে চরভদ্রাসনের কি হবে আল্লাহ ই জানে।বালুর ব্যাগে কেন ভাঙন রোধ হচ্ছে না তা বলতে পারব না।